শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পেতে বিয়ে। পরবর্তীতে ৭ লক্ষ টাকা যৌতুক এর দাবি। যৌতুক দিতে না পারায় মেয়েকে স্বামীর বাড়ীতে পাঠাতে পারেনি পিতা। কিছুদিন পরে তালাক এর নোটিশ পাঠিয়ে দেয় বর। এমনই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় ।
অবশেষে যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ফুলবাড়ী উপজেলার আখিঁঘোটনা গ্রামের এক পিতা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়ী থানায় যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
মামলায় মেয়ের পিতা মোঃআবদুর রশিদ মন্ডল উল্লেখ করেছেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে দেশমা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৩৬) এর কাছে বাদির নাবালিকা মেয়ে প্রাইভেট পড়ত। এ সময় সে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে।
পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের পরিবারের সদস্যরা বিয়ের প্রস্তাব দেন। সে সময় সামাজিকতা ও পারিপার্শ্বিকতার কথা বিবেচনা করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়েতে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমহর ধার্য করা হয়।
বিয়েতে উপটৌকন নগদ ২ লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্র প্রদান করেন। এরপরও মেয়েকে তারা নিয়ে যায়নি। পরে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তারা ৭ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে গত ১৫ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে বাদীর বাসায় আলোচনায় বসে আবারো ৭ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা জানায় ৭ লক্ষ টাকা যৌতুক না দিলে তারা মেয়েকে নিয়ে যাবেননা।
এই ঘটনায় মেয়ের পিতা মেয়ের স্বামী শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, তার পিতা খবির উদ্দিন (৬৫),মা মোছাঃ মজিরন বেগম(৫৮), মেয়ের ভাসুর মজিবর রহমান, লুৎফর রহমান ও জা সেলিনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে মেয়ের পরিবার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।